ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর নিখোঁজ সাবমেরিন কেআরআই নাঙ্গালা-৪০২ এর খোঁজ মিলেছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান ইউডো মারগোনো জানান, বালি উপকূলে ডুবে যাওয়া সাবমেরিনটি থেকে ভেসে আসা কিছু বস্তু আশেপাশের এলাকায় পাওয়া গেছে। নিখোঁজ সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তবে এর ৫৩ নাবিকের সবার মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষের ছয়টি টুকরা সবার সামনে হাজির করা হয়। এসব ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ছিল লুব্রিকেন্টের একটি বোতল ও টর্পেডোর সুরক্ষার একটি যন্ত্র। খবর আল জাজিরার।
মারগোনো বলেন, ‘বিস্ফোরণ হয়ে থাকলে এটা টুকরা টুকরা হয়ে যাবে। যে ফাঁটল ধরেছিল সেটি ৩০০ মিটার থেকে ৪০০ এরপর ৫০০ মিটার গভীরে যাওয়ার সময় ধীরে ধীরে হয়েছে…বিস্ফোরণ হয়ে থাকলে এটি সোনারে শোনা যেতো।’
দেশটির বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার মার্শাল হাদি তিজাহজানতো জানান, ‘সাবমেরিনের সর্বশেষ অবস্থানের কাছেই এসব জিনিস পাওয়া গেছে। এগুলো সাবমেরিনের অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে। চাপ না থাকলে সাবমেরিন থেকে এসব জিনিস কখনো বের হয়ে আসার কথা না।’
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী প্রধান ইউডো মারগোনো বলেন, উদ্ধারকর্মীরা একাধিক বস্তু পেয়েছেন। এসব প্রমাণের প্রেক্ষিতে আমরা এখন সাবমেরিনটিকে নিখোঁজ না বলে ডুবে গেছে বলব।
তিনি আরও জানান, একটি স্ক্যানারে ধরা পড়েছে সাবমেরিনটি ৮৫০ মিটার গভীরে রয়েছে। যা মানুষের বেঁচে থাকার গভীরতা সীমার চেয়ে বেশি। এটি ৫০০ মিটার গভীর পর্যন্ত চলাচলের জন্য নির্মিত।
গত ২১ এপ্রিল ভোরে জার্মানির তৈরি কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি বালি উপকূল থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরের পানিতে নিখোঁজ হয়। এটি ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল। মাঝখানে মেরামতের জন্য এটিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুই বছর পর ২০১২ সালে এর মেরামত কাজ শেষ হয়।