ফের আলোচনায় এসেছেন দুবাইয়ের ‘নিখোঁজ’ রাজকুমারী শেখ লতিফা। দুবাই শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমের মেয়ে তিনি।
রাজকুমারী লতিফার নতুন আরও একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ইনস্টাগ্রামের পোস্টে মাদ্রিদ বিমানবন্দরে এক বান্ধবীর সঙ্গে লতিফাকে দেখা গেছে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ-বারাজাস বিমানবন্দরে তোলা ওই ছবিতে লতিফা ও তার বান্ধবীর মুখে মাস্ক দেখা গেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে ওই ছবি পোস্ট করেছেন রাজকুমারী লতিফার বান্ধবী সিয়োনেড টেলর। তিনি রাজকুমারী লতিফার দীর্ঘদিনের বান্ধবী। পোস্টে টেলর লেখেন— ‘লতিফার সঙ্গে সুন্দর ছুটি কাটছে। আমরা মজা করছি।’
এদিকে ফ্রি লতিফা ক্যাম্পেইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেভিড হেইগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, লতিফার পাসপোর্ট রয়েছে। তাকে বিদেশে ভ্রমণ করতে দেখে ও আনন্দ করতে দেখে তিনি খুবই সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, রাজকুমারী লতিফা ফ্রি লতিফা টিমের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। তবে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি ডেভিড।
এর আগে গত মে মাসে ইনস্টাগ্রামে লতিফার সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করেন সায়োনেড টেলর। একটি ছবিতে দুবাইতে একটি শপিংমলে লতিফার সঙ্গে টেলরকে দেখা যায়। আরেকটি ছবিতে তাদের একটি রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে আলোচিত হন রাজকুমারী লতিফা। সেই সময় তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাজকুমারী বলছেন, তাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং তিনি প্রাণনাশের শঙ্কায় রয়েছেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
রাজকুমারী লতিফার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এবং তিনি জীবিত আছেন কিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে তার প্রমাণ চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
রাজপরিবারের পক্ষ থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজকুমারী শেখ লতিফা বাড়িতে আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছেন। ওই ভিডিও প্রকাশের আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ২০১৮ সালের মার্চে শেখ লতিফা সমুদ্রপথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এর পরই তাকে বন্দি করে রাখা হয়। সেই সময় ভাইরাল ওই ভিডিওতে রাজকুমারীকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না, বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। আমি কোনোভাবেই দুবাই ছাড়তে পারছি না।’
দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম একই সঙ্গে আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের ধনী রাষ্ট্র নেতাদের একজন তিনি।