ওষুধে মাত্রাতিরিক্ত নেশাদ্রব্য ব্যবহার করছে মার্কিন ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন। এতে করে আবারো জরিমানা গুনতে হয়েছে এই কেম্পানিটিকে। এবার ওষুধে মাত্রাতিরিক্ত নেশাদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়ায় ২৩ কোটি ডলার জরিমানা গুনতে হচ্ছে জনসনকে। নিউইয়র্কে করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। এমন মামলা আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে চলছে।
জরিমানা দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে রাজি হলেও ওষুধে মাত্রাতিরিক্ত নেশাদ্রব্যের উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেছে বিশ্বখ্যাত, মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। নিউইয়র্কে ওপিওয়েড নামে ওষুধ তৈরি ও বিক্রির কারণে মানুষের মৃত্যু ও মাদকাসক্তের অভিযোগে জে অ্যান্ড জের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমস বলেন, বিগত কয়েক শতক ধরে এই ওষুধ ব্যবহারের জন্য হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং একই সঙ্গে দেশজুডে এখনো ৫০ হাজারেরেও বেশি মানুষ আসক্ত। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেলের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জে অ্যান্ড জে বলেছে, চিকিৎসকরা এই ওষুধকে ব্যথানাশক হিসেবে দিয়ে থাকেন।
মার্কিন ওষুধ প্রশাসন বলেছে, এই ওষুধ অতিমাত্রায় ব্যবহার মানুষকে নেশার দিকে ঠেলে দেয়। মস্তিষ্কে ঝিমুনিভাব এনে দেয়। যার জন্য বেশির ভাগ মানুষ এটাকে নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করে।
রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত ওপিওয়েড সেবনের কারণে প্রায় চার লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জে অ্যান্ড জের দায় রয়েছে ৭০ হাজার মৃত্যুতে।
এর আগেও একাধিকবার জনসন অ্যান্ড জনসনের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অভিযোগ ওঠে। গুনতে হয় বিপুল অঙ্কের জরিমানা।