যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রাশিদ আল-মাকতুম তার মেয়ে প্রিন্সেস লতিফাকে বন্দি করতে সক্ষম হন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ইউএসএ টুডের একটি প্রতিবেদন এমনটি দাবি করে। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
ইউএসএ টুডের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এফবিআই দুবাইকে প্রিন্সেস লতিফার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। এ তথ্যের মাধ্যমেই লতিফাকে বন্দি করতে সক্ষম হন দুবাইয়ের শাসক। ২০১৮ সালে ভারত মহাসাগরে একটি ইয়টে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন প্রিন্সেস লতিফা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সেই সময় লতিফার ইয়টের অবস্থানের তথ্য এফবিআই দুবাইকে সরবরাহ করে। লতিফার অবস্থা সম্পর্কে এফবিআইকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল বলেই সংস্থাটি দুবাইকে তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে। এ বিষয় সম্পর্কে জানেন এমন একজনের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, এফবিআই সত্যিই বিশ্বাস করেছিল এটি একটি অপহরণের ঘটনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়টের মধ্যে লতিফা ইমেইলের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার কারণে তার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ইউএসএ টুডেকে এক ব্যক্তি বলেন, লতিফার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ইমেইল চেক করাটা। যার কারণে লতিফার অবস্থান শনাক্ত করা গেছে এবং তাকে বন্দি করতে পেরেছে দুবাই।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের ২৫ ছেলেমেয়ের একজন প্রিন্সেস লতিফা। পারিবারিক বিধিনিষেধ ভাঙার চেষ্টা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০১৮ সালে ভারত মহাসাগরে একটি ইয়টে ধরা পড়েন তিনি। এর পর কমান্ডোরা তাকে দুবাইয়ে ফিরিয়ে নেন।