মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছেলেকে রেডি করে দিচ্ছেন অপু বিশ্বাস। এ সময় আপন মনে জাতীয় সংগীত গাইছে জয়। এরপর ছেলের কপালে চুমু দিয়ে তার হাত ধরে হাঁটতে থাকেন নায়িকা।
ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে অপু বিশ্বাসের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে, স্বাধীনতা মানে লিখতে পারি, বলতে পারি কথা। স্বাধীনতা মানে লাল-সবুজের একখানই পতাকা। তুমি আমার দেশ, তুমি আমার অহংকার। তোমায় কী ভুলিতে পারি, আমার প্রিয় জন্মভূমি।
সবশেষে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানায় জয়। তার ভাষ্য, ‘সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।’
ভিডিওর ক্যাপশনে অপু বিশ্বাস লিখেছেন, ‘লাল-সবুজ পতাকা আঁকা থাকুক আমাদের অস্তিত্বজুড়ে। সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।’
‘অভিনেতার বাইরে আমিও একজন মানুষ, আমারও পরিবার আছে। সন্তান আছে। আত্মীয়-স্বজন আছে। তাদের কাছে মাথা উঁচু করে এখন বলতে পারছি। কিন্তু শুরুতে যখন অভিযোগগুলো আনা হয়, আমি বার বার বলছিলাম, এটা একটা ট্র্যাপ ছিল। যা অস্ট্রেলিয়াতেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক সংবাদের কারণে আমার পরিবারও দুশ্চিন্তায় ছিল। তাদের মুখ দেখাতে কষ্ট হয়েছে। অন্যায়টা আমি করিনি, অন্যায়টা আমার সঙ্গে হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নায়কের গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান।
এ সময় শাকিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অসত্য অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ডিবি অফিসে গিয়েছি। সেখানে ডিবি প্রধান হারুন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকে আদালতে গিয়েছিলাম। তারা আমার মামলাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদীত এ ঘটনার পেছনে আর কারা কারা আছেন, ইনভেস্টিগেশনে সব বেরিয়ে আসবে।
শাকিব বলেন, এই হেসেল, এটা সহ্য করার ক্ষমতা কারও থাকে না। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, রিল লাইফে আমি যেমন প্রতিবাদী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি-রিয়েল লাইফেও আর মুখ বুজে সহ্য করবো না। এজন্যই সেদিন বলেছি, বোবা সেজে থাকার আর সময় নেই। মন সাঁয় দেয় না, তিন চারদিন ধরে কারও ঘুম নাই; তবুও ভিড় ঠেলে আজ আদালতে হাজির হয়েছি।
এই শীর্ষনায়ক বলেন, ‘আজ আমাদের জয় হলো। যারা অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, তারা কিন্তু পালিয়ে গেছে। প্রয়োজনে রহমতুল্লাহকে বিদেশ থেকে ধরে আনা হবে।’
এসময় কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘শুধু সিনেমা নয়, সব অঙ্গণের প্রতিষ্ঠিত মানুষদের নিয়ে ইদানিং প্রায়শই একটি শ্রেণি নানা অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। অনেক সংবাদ মাধ্যম সেই অভিযোগগুলো সত্য কিনা, তা যাচাই না করেই প্রকাশ করে দিচ্ছে। এটা ঠিক নয়। কেউ একজন এসে প্রযোজক পরিচয় দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললো, অথচ সেটা খতিয়ে না দেখে সংবাদে প্রকাশ করে দেয়াটা কতোটুকু যৌক্তিক? অথচ প্রযোজক সমিতিতে একটু খোঁজ নিলেই জানা যেতো, যিনি প্রযোজক পরিচয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন, তিনি সত্যিকার অর্থেই প্রযোজক কিনা!’
দেশের শিল্পী কলাকুশলীদের উদ্দেশে শাকিব বলেন, শিল্পীদের বিরুদ্ধে প্রায় সময় দেখি এসব অন্যায় অভিযোগ। আমি তাদের একটা বার্তা দিতে চাই, এসব আর সহ্য করো না। একটু হেসেল হলেও তা সহ্য করে প্রতিবাদ করো। দেশে আইন আছে, প্রশাসন আছে- বিচারটা পাবে।
নব্বইয়ের দশকের টেলিভিশন পর্দায় এক অপরিহার্য নাম বিপাশা হায়াত। দেশের শোবিজে নন্দিত এক নাম। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি শিল্পের চর্চা করে চলেছেন স্বমহিমায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী। একজন গুণী নাট্যকারও। ছবিও আঁকেন নিয়মিতই। তবে টেলিভিশন, মঞ্চ, চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যই বিখ্যাত তিনি। আর নিপুণ হাতে সামলে চলেছেন সংসার, সন্তানও।
গতকাল ছিল তার জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এবারে ৫২ বছরে পা রাখলেন অভিনেত্রী। জন্মের পর থেকেই পেয়েছেন সাংস্কৃতিক পরিবার ও পরিবেশ। বাবা আবুল হায়াত একজন গুণী অভিনেতা। তাই অভিনয়ের সঙ্গে বিপাশার পরিচয় সেই ছোটবেলা থেকেই। প্রখ্যাত অভিনেতা আবুল হায়াতের বড় কন্যা তিনি। ১৯৯০ সাল থেকেই শিল্পকলার জগতে তার বিচরণ। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স করেছেন এই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী।

কালের প্রবাহে তিনিও হয়ে উঠেছেন জাত শিল্পী। আশির দশকে ‘খোলা দুয়ার’ নাটকে বাবার মেয়ে হয়েই অভিনয় শুরু করেন।
এরপর যুক্ত হন নাগরিক নাট্যসমপ্রদায়ে। টিভি নাটকে প্রথমে আলোচনায় আসেন ‘অয়োময়’ ধারাবাহিক দিয়ে।
এরপর পুরো নব্বই দশকে ছিলেন শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। একে একে অভিনয় করেন শঙ্কিত পদযাত্রা, রূপনগর, ছোট ছোট ঢেউ, অন্য ভুবনের ছেলেটা, চেনা অচেনা মুখ, থাকে শুধু ভালোবাসা, বীজমন্ত্র, স্পর্শ, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই, বিপ্রতীপ, অতিথি, হার জিত, আশিক সব পারে, বিষকাঁটার মতো জনপ্রিয় নাটকগুলিতে।
সেই দশকে অনেক অভিনেত্রীই লাক্সের বিজ্ঞাপন করেছিলেন। তবে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক তিনিই নিয়েছিলেন। মডেলিং জগতেও খেতাব ছিল তার। একটা সময় পর অভিনয় জগত থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে যখনই ফিরে এসেছেন তখনই নিজেকে সমাদৃত করেছেন।
এরমধ্যে অন্যতম কাজ ছিল দিল দরিয়া, ইনসমনিয়া, শেষ বলে কিছু নেই, দুই বোন, হাতটা বাড়িয়ে দাও, চিনিখোর অন্যতম।
জানা যায়, নব্বই দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এ অভিনয়ের জন্য অফার পেয়েছিলেন বিপাশা। তবে বাণিজ্যিক ছবি করবেন না বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন। একসময় টিভি নাটকে তৌকীর-বিপাশা জুটি খুব জনপ্রিয় ছিল। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও।
এরপর দু’টি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘আগুণের পরশমনি’ ও ‘জয়যাত্রা’য় অভিনয় করেন। অভিনয়ের বাইরে তিনি নাট্যকার। অনেক নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে শুধু তোমারেই জানি, শুকতারা, শঙখবাস, ঘাসফুল, প্রেরণা অন্যতম।
উপস্থাপক হিসেবেও সুপরিচিতি আছে তার। ‘বিপাশার অতিথি’ নামক একটা অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। আবৃত্তি ও গানেও দক্ষ তিনি।
তার অন্য আরেকটি প্রতিভা হল তিনি একজন চিত্রশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বছর কয়েক আগে এসিড আক্রান্ত নারীদের সাহাযার্তে নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করেছিলেন।
বর্ণিল ক্যারিয়ারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সাংস্কৃতিক জীবনের মত ব্যক্তিগত জীবনটাও তার মসৃন ও পরিস্কার। তৌকির আহমেদের স্ত্রী বিপাশা হায়াত দুই সন্তানের জননী।
অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদের সঙ্গে বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে সংসারে মনোযোগী হয়ে পড়েন বিপাশা। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বড়টি মেয়ে আরিশা আহমেদ, ছোট ছেলে আরিব। সংসার সামলানোর পাশাপাশি বর্তমানে ছবি আঁকা ও চিত্রনাট্য লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। জয়নুল গ্যালারি, প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ডিভাইন আর্ট গ্যালারিসহ দেশে-বিদেশে বহু স্থানে বিপাশার আঁকা ছবির প্রদর্শনী হয়েছে।
সিনেমায় শত্রুরা নায়কের পেছনে লাগে, নায়করা প্রতিবাদ করে। সিনেমায় যেভাবে প্রতিবাদ করে, সেটি বাস্তবেও করে দেখাতে হয়, আমি সেটিই করে দেখালাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শাকিব খান।
এদিন শাকিব খান প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে দুটি মামলা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন তিনি।
শাকিব খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অসত্য অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ডিবি অফিসে গেছি। সেখানে ডিবিপ্রধান হারুন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকে মহামান্য আদালতে গেছি। তারা আমার মামলাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ ঘটনার পেছনে আর কারা কারা আছে ইনভেস্টিগেশনে সব বেরিয়ে আসবে।
প্রয়োজনে রহমত উল্লাহকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ধরে আনা হবে―এমনটিই জানিয়ে শাকিব বলেন, শুধু রিল কিংবা পর্দায় নয়, রিয়েল লাইফেও যারা সত্যের পক্ষে থেকে লড়াই করেন, প্রতিবাদ করেন, তাদেরই জয় হয়। আজকেও আমাদের জয় হলো। যারা অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, তারা কিন্তু পালিয়ে গেছে। প্রয়োজনে তাকে বিদেশ থেকে ধরে আনা হবে।
প্রসঙ্গত, এক সহপ্রযোজককে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে। আরেক সহপ্রযোজক রহমত উল্লাহ তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন।
চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শাকিব ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন শাকিবের স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলী। তিনি জানতে চেয়েছেন, এতো অভিযোগ আগে কোথায় ছিল? মধ্যরাতে শাকিবের হোটেল কক্ষে ওই নারী কী করছিলেন?
পাঠকদের জন্য বুবলীর স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো-
শাকিব খান একজন অভিনয়শিল্পী যে কিনা প্রায় ২৪ বছর এই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেছেন, অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সিনেমা নিয়ে ভেবেছেন। হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ইস্যু এনে তাকে নিয়ে নানান বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে! অনেক বছর আগের অপারেশন অগ্নিপথ নামের একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন শাকিব খান এর ব্যাপারে বিস্তর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে প্রডিউসার দাবি করে এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে নানান অভিযোগ করছেন…।
আচ্ছা শুটিং চলাকালীন এতো এতো অভিযোগ যখন টের পেয়েছিলো উনারা, তাহলে কেনো তখন তাকে বাদ দেয়া হলো না? সমিতিগুলোতে অভিযোগ করা হলো না? দু-পক্ষের কথা শোনা হলো না? ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ায় অপারেশন অগ্নিপথ শুটিং এর পর ২০১৮ সালে শাকিব খান তার সুপার হিরো নামের আরেকটি সিনেমার শুটিং সম্মানের সাথে প্রায় ২০ দিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে শেষ করে আসেন। উনি যদি কোনো ব্যাপারে দোষী থাকতেন তাহলে তো অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তাকে তখন শুটিং এর অনুমতিই দিতেন না, শাকিব খান নিজেও অস্ট্রেলিয়া যেতেন না।
তার খাবার খাওয়া নিয়ে বলা হচ্ছে, উনি কি ডায়মন্ডের খাবার খেতেন যেটা নিয়েও অভিযোগ যে, অনেক expense হতো!
মধ্যরাতে তার হোটেল রুমে নারী সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে বলা হচ্ছে , মধ্যরাতে তার হোটেল কক্ষে নারী কি করছিলেন? কি তার বা তাদের উদ্দেশ্য ছিল?
এতো বছর কেনো ওসব ঘটনা নিয়ে সেই নারী প্রকাশ্যে কথা বললেন না! এখন কেনো এই প্রডিউসার দাবি করা ব্যক্তি অস্থির হয়ে গেলেন? আর দেশে হোক বা বিদেশে! যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে, খাতায় নাম উঠতেই পারে, কিন্তু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, উভয় পক্ষের প্রমাণাদি নিয়ে।
কথা হলো, হঠাৎ এতো অভিযোগের ভাণ্ডার কেনো? কি চাচ্ছে? শিডিউল? মুভি শেষ করে দেয়া? আমার জানামতে শাকিব খান অপারেশন অগ্নিপথের শিডিউল কয়েকবারই দিয়েছেন, কিন্তু শুটিং হয়নি। এখনও যদি শিডিউল চাওয়া হয় সিনেমা শেষ করতে, উনি অবশ্যই শিডিউল দিবেন, কারণ সে পেশাগত জায়গায় যথেষ্ট ডেডিকেটেড, তা নাহলে ২৪ বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারতেন না কারন একজন সফল শিল্পী একদিনে তৈরি হয়না।
কয়েক বছর ধরে দেখছি, একটা চক্র কিছুদিন পর পরই শাকিব খানকে নিয়ে ওঠে পড়ে লাগে। নানা চক্রান্তে মেতে ওঠে। বিষয়টা যেন এমন, তাকে হটিয়ে দিতে পারলেই আমরা রাজা। কিন্তু তার লাখো কোটি ভক্তরা কখনোই তা হতে দেয়নি। দিবেও না। সবসময়ই তারা তাকে আগলে রাখে। শক্তি দিয়ে এগিয়ে নেয়।
দেশের প্রাচীনতম নজরুল চর্চা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান নজরুল একাডেমি আজীবন সংগীত সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ এদেশের তিনজন কৃতি সন্তান/শিল্পীকে ‘উস্তাদ’ উপাধিতে ভূষিত করলো।
তাঁরা হলেন: উস্তাদ ফিরোজ খান(সেতার), গাজী আব্দুল হাকিম(বাঁশী) এবং মোঃ ইউসুফ খান(সরোদ)।
১৭ মার্চ, (শুক্রবার ) নজরুল একাডেমি’র ‘কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন’এ (মগবাজার) অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে তাঁদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা, উত্তরীয় এবং ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন: উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি ও লালন গীতির সম্রাজ্ঞী শিল্পী ফরিদা পারভীন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সদ্য উস্তাদ উপাধি প্রাপ্ত গুণী শিল্পীগণ তাঁদের নিজ নিজ বাদ্যযন্ত্রে সৃজনশীল পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শক শ্রোতাদের বিমোহিত করেন। এসময় তবলায় সংগত করেন: শ্রী রবীন্দ্রনাথ পাল।

শুভেচ্ছা বক্তব্য পেশ করেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সাধক, আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয়, উস্তাদ হামিদ হোসাইন। তাঁর নেতৃত্বে কোলকাতা থেকে আগত শিল্পীদের নজরুল একাডেমির পক্ষ থেকে: ফুল , উত্তরীয় এবং সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর কোলকাতা শিল্পী: শ্রীমতী সোহিনী রায় চৌধুরী (উচ্চাঙ্গ), পন্ডিত সমীর রায় চৌধুরী (তবলা), সুভ্রাংশু দাস (তবলা), পন্ডিত কেশব ব্যানার্জি (হারমোনিয়াম) পরিবেশন করে শ্রোতা দর্শকদের বিমুগ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য উপস্থাপন করেন: নজরুল একাডেমি’র নির্বাহী কমিটির সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রদুত ও সচিব মসয়ুদ মান্নান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন: নজরুল একাডেমি’র সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কন্ঠশিল্পী মিন্টু রহমান।
নজরুল একাডেমি থেকে প্রচারিত Online Facebook Channel NAZRUL TV পুরো অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে।
প্রথমবার পর্দায় জুটি বাঁধছেন অভিনেতা রণবীর কাপুর এবং শ্রদ্ধা কাপুর। মুক্তির ৯ দিনে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছে ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কর’।
বলিউড মুভি রিভিউজ বলছে, মুক্তির ৯ দিনে বিশ্বব্যাপী ছবিটি আয় করেছে ১২১ কোটি রুপি। এছাড়াও শুধুমাত্র ভারতেই ছবিটির আয় দাঁড়িয়েছে ৯০ কোটি রুপি।
জানা গেছে, ভারতের বড় বড় শহর গুলোর মাল্টিপ্লেক্স গুলোতে ভালো ব্যবসা করছে ছবিটি। এছাড়াও ২০২২ সালের শেষ থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের এখন পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড ছবির তালিকা বিবেচনা করলে ‘পাঠান’ ও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র পরেই ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কর’ অবস্থান করছে।
লাভ রঞ্জন পরিচালিত ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কর’ ছবিটি ভারতের ৩৬০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। যেখানে প্রথমবারের মত জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর এবং শ্রদ্ধা কাপুর।
‘বিয়াইনসাব আপনার জন্য ঢাকা থেকে ডিজে আনছি’ গানটির তালে মঞ্চ মাতাচ্ছিলেন ঢালিউডের নায়িকা অপু বিশ্বাস এবং অভিনেতা নিরব। কিন্তু বিপত্তি ঘটে নাচের শেষ অংশে গিয়ে যখন অপু বিশ্বাসকে কোলে তোলার চেষ্টা করেন নিরব।
অপুকে কোলে তুলতে গিয়ে মঞ্চের ওপর ধপাস করে উল্টে পড়ে যান নিরব। এ সময় অপু বিশ্বাসও পড়ে যান।
শনিবার ( ১১ মার্চ) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি অভিজাত রিসোর্টে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটেছে।
বলিউডে বেশ ছন্দে রয়েছেন কৃতি স্যানন। বর্তমানে সবচেয়ে প্রত্যাশিত নায়িকাদের মধ্যে তিনি একদম প্রথম সারির একজন। টাইগার শ্রফের সঙ্গে ‘হিরোপান্তি’ চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে সফর শুরু হয় কৃতির। এরপর একাধিক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে সিনেমার জগতটা যতটা আকর্ষনীয়, তারকাদের জীবন ততটাই প্রশ্নবিদ্ধ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন কৃতি। তার মতে, গ্ল্যামার জগতের মেয়েদের নিয়ে সমাজে প্রচলিত এক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
বরাবরই স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসেন কৃতি। নায়িকার কথায়, তার বয়সী মেয়েদের অনেক সময় শুনতে হয় যে শোবিজ দুনিয়ার মেয়েদের কেউ ঘরের বউ করে না, তাদের বিয়ে হয় না। শুরুতে এই কথা শুনে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন কৃতি। এই ইন্ডাস্ট্রি তার জন্য নয়, এই কথাও বহুবার শুনেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে কৃতি জানান, ‘আমাকে অনেকবার বলা হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রি আমার জন্য নয়। এই দুনিয়াটাকে নিয়ে অনেকের ভাবনাচিন্তা একদম অন্যরকম। এই জগতটা নিয়ে লোকে ইতিবাচক কিছু ভাবতে পারে না। এই দুনিয়াটা গ্ল্যামারাস কিন্তু ভালো নয়। তারা এটাও বলেছেন, যে অভিনেত্রী হলে আর বিয়ে হয় না’।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার গ্রুপের বন্ধুরা আমাকে বলেছিল, কেউ অভিনেত্রীদের বিয়ে করতে চায় না। তোরও বিয়ে হবে না। এমন নয় সেই কথাগুলো আমি সিরিয়ালসি নিয়েছিলাম। আমি তো হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম যে, আমার জেনারেশনের মানুষও এমনটা ভাবতে পারে!’
কৃতির হাতে রয়েছে এখন রয়েছে বিগ বাজেটের কিছু প্রজেক্ট। সামনে রিয়া কাপুরের ‘দ্য ক্রিউ’তে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এতে আরো থাকছেন কারিনা কাপুর, দলজিৎ দোসাঞ্জ এবং তাবু। এছাড়াও পুরনো বন্ধু টাইগারের সঙ্গে ফের একবার পর্দায় রোম্যান্স করতে দেখা যাবে কৃতিকে। বিকাশ বহেলের ‘গাণপাথ’ মুক্তি পাবে এই বছর। এছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কৃতির ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র ‘আদিপুরুষ’। এতে ‘সীতা’ চরিত্রে অভিনয় করছেন কৃতি। প্রধান চরিত্রে থাকছেন প্রভাস। এই জুটির প্রেমের গল্প ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বলিউড অঙ্গনে। জোর গুঞ্জন রয়েছে, প্রভাসের সঙ্গে নাকি শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন কৃতি! যদিও এই দুই তারকা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তাদের কথিত সম্পর্কের বিষয়টি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। এই সময় একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমার জন্য আমরা যে অনুদান দিচ্ছি সেটা কিন্তু যথেষ্ট না। সিনেমা নির্মাণে সরকারি অনুদান বাড়ানো হবে। বর্তমানে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য ২৫ লাখ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দেয় সরকার। আগামী বাজেটে আমি নিজে এটা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবো।’
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে ২৭ ক্যাটাগরিতে এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি সবার মাঝে আলাদা একটা মেধা ও চিন্তাশক্তি আছে। একটা আর্টিস্টিক ও শৈল্পিক মেধা আছে। তাদের মাধ্যমে জীবনধর্মী সেসব সিনেমা তৈরি হয়, সেগুলো মানুষকে আকর্ষিত করে। একটা সিনেমা একজন মানুষে জীবনকে পাল্টে দিতে পারে, একটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। এ ধরণের সিনেমা তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চলচ্চিত্রজগতের সবাই অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এ জন্য সবাইকে সাধুবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এটা আমাদের স্বাধীনতার মাস। এই দেশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে মার্চ অত্যন্ত গভীরভাবে মিশে আছে। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস; এই মাসে আপনাদের সামনে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে যাননি, আজকে যে সিনেমা শিল্প গড়ে উঠেছে, এর সূচনা করেছিলেন তিনি।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।