ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোয় প্রাণহানি দুই হাজার ছাড়িয়েছে। গুরুতর আহত আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
বিগত একশ বছরেও এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেননি দেশটির বাসিন্দারা। মাত্র ২০ সেকেন্ডেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কয়েকটি শহর। অনেকে ঘুমের মধ্যেই প্রাণ হারান। খবর রয়টার্সের।
এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে দেশটির আল হাউজ প্রদেশে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। এখনো বহু প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি জরুরি বিভাগের সদস্যরা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। রাতে প্রাণরক্ষায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শনিবারও শত শত মানুষকে সড়কের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, মরক্কোর চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেচ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আটলাস পর্বতমালায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মারাকেচ, আল হাউজ, ওয়ারজাজেট, আজিলাল, চিচাউয়া, তারউদান্ত এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে দ্রুত পৌঁছানো কঠিন।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। আশ্রয়ের ব্যবস্থা, খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেন তিনি।
আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এখন পর্যন্ত ২৯৬ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় চারদিকে হাহাকার করছেন মানুষ। হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে হওয়া ভূমিকম্পে ধসে গেছে রাবাত ও মারাকাশের বহু বাড়ি। খবর আল-আরাবিয়্যাহ নিউজ ও স্কাই নিউজের।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মরক্কোর বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পে অন্তত ২৯৬ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে যে, ৫০০ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় এত বড় ভূমিকম্প হয়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার (৪৪ মাইল) দূরে আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডিনের স্কি রিসোর্টের কাছে।
শুক্রবার গভীর রাতে হওয়া ভূমিকম্পকে কেঁপে ওঠে রাবাত ও মারাকাশসহ গোটা এলাকা। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।ইউএসজিএস জানিয়েছে, ৫০০ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় এত বড় ভূমিকম্প হয়নি।
স্পেক্টেটর ইনডেক্স সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্লাটফর্মে এক পোস্টে জানিয়েছে যে, একটি ভবন ধসে মরক্কোর ডেমনাটে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের ফলে অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। এই কারণে ধুলোর মেঘ তৈরি হয়। সারারাত মানুষ রাস্তায় রাত কাটায়।
অন্যান্য পোস্টে দেখানো হয়েছে হতবাক বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য, স্থানীয় ভবনের বাইরে এবং রাস্তায় দৌড়াচ্ছে।
মারাকেশের একজন বাসিন্দা ব্রাহিম হিমি রয়টার্সকে বলেন, তিনি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে শহরের ঐতিহাসিক পুরাতন শহর ছেড়ে যেতে দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, মাটি কেঁপে ভবনের সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসাওইরার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা বলেন, খুব বেশি ক্ষতি হয়নি তবে লোকজন আতঙ্কিত। কম্পনের সময় আমরা চিৎকার শুনেছি। খবরে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে ভূমিকম্পগুলো অস্বাভাবিক তবে অপ্রত্যাশিত নয়। এই মাত্রার কোনো ভূমিকম্প ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে দেখা যায়নি।
ওমানের রাজধানী মাস্কট থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটে বিমানবালার সঙ্গে অশালীন আচরণ ও তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে মাস্কট থেকে ফ্লাইটটি মুম্বাইয়ে অবতরণের আধঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম দুলাল (৩০)। তাকে মুম্বাইয়ের আন্ধেরি আদালতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
দুলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভিস্তারার ফ্লাইট ইউকে-২৩৪ ফ্লাইটে মাস্কট থেকে মুম্বাইগামী বিমানে এক বিমানবালাকে অশালীন ইঙ্গিত করেন এবং তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ অভিযোগে আন্ধেরি আদালত দুলালকে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। ইতিমধ্যে মুম্বাইতে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সঙ্গেও পুলিশ যোগাযোগ করেছে। তারা দুলালের জামিনের আবেদন ও আইনি সহায়তার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে দুলালের আইনজীবীর দাবি, তার মানসিক সমস্যা রয়েছে। এছাড়া তিনি ইংরেজি বা হিন্দিও বুঝেন না। এ দুটো সমস্যার জন্য এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
এক ছাত্রী হোস্টেলে ১০০ জনের মধ্যে কেবল ১১ জন ছিলেন। বাকি ৮৯ জন গভীর রাতে হোস্টেল থেকে উধাও হয়েছিলেন। এমন ঘটনায় কর্তৃপক্ষ হতভম্ব হয়েছিলেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের এক ছাত্রী হোটেলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে হোস্টেলে ছাত্রী অনুপস্থিতির এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে কাসতুরবা গান্ধী রেসিডেনশিয়াল গার্লস স্কুলে অভিযান চালান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নেহা শর্মা।
তিনি জানান, হোস্টেলে নিবন্ধিত ছাত্রী ১০০ জন। কিন্তু তিনি পেয়েছেন ১১ জনকে। বাকি ৮৯ জন ছাত্রী কোথায় সে বিষয়ে দায়িত্বে থাকা শরিতা সিং কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘এটি দায়িত্বে অবহেলা। ছাত্রীদের আবাসিক স্কুল এভাবে চলতে পারে না।’
ওই জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা প্রেম চাদ যাদব বলেন—একজন শিক্ষক, হোস্টেল ওয়ারডেন, নিরাপত্তা রক্ষী ও নৈশ পাহারায় থাকা এক প্রান্তীয় রক্ষাদলের সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়াও কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ক্যাবল কার ছিঁড়ে ঝুলে থাকা আটজনের মধ্যে দুইজনকে উদ্ধারের খবর জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এখনো চলছে উদ্ধার অভিজান। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে এক হাজার ২০০ ফুট (৩৬৫ মিটার) উচ্চতায় থাকা অবস্থায় ক্যাবল কারটির একটি তার ছিঁড়ে যায়। যখন তারটি ছিঁড়ে যায়, তখন এটি মাঝপথে ছিল।
‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ এক বিবৃতিতে বলেছে, ছয় শিশু এবং দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক কমপক্ষে ৯০০ ফুট উচ্চতায় ওই কারের ভিতর আছে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ৮ টার মধ্যে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বাট্টাগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই ক্যাবল কার। দুটি দড়ি ছিঁড়ে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠ অন্তত ৯০০ ফুট ওপরে আটকা পড়ে সেটি। এসময় ক্যাবল কারটির ভেতরে ছিল ছয় শিশু শিক্ষার্থীসহ আট আরোহী।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। জর্জিয়ার অঙ্গরাজ্যের নির্বাচকরা তার বিরুদ্ধে ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে হেরে যাওয়ায় ভোটের ফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল (সোমবার) স্থানীয় সময় রাতে অঙ্গরাজ্যটির ফালটন কাউন্টির গ্র্যান্ড জুরি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ৪১টি অভিযোগ আনেন।
এতে আরও বলা হয়, এই অভিযোগের মাধ্যমে চলতি বছর ট্রাম্প চতুর্থবারের মতো ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন। তবে, তিনি প্রতিটি অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
আমি কখনোই আল্লাহকে খোঁজার গরজ অনুভব করিনি। যখন কিছুই করার থাকত না, তখন কোনো পুরনো বই বা ভবন দেখে সময় কাটাতাম। কখনো কল্পনাও করিনি আমি মুসলমান হব। আমি খ্রিস্টানও হতে চাইনি।
যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রতিই আমার তীব্র বিতৃষ্ণা ছিল। প্রাচীন কোনো গ্রন্থ আমার জীবনযাপনের পথ-নির্দেশ করবে, তা নিয়ে ভাবিইনি।
এমনকি কেউ যদি আমাকে কয়েক কোটি ডলার দিয়েও কোনো ধর্ম গ্রহণ করতে বলত, আমি সরাসরি অস্বীকার করতাম।
আমার প্রিয় লেখকদের অন্যতম ছিলেন বার্টান্ড রাসেল। তার মতে, ধর্ম হলো কুসংস্কারের চেয়ে একটু ভালো, সাধারণভাবে লোকজনের জন্য ক্ষতিকর, যদিও এর ইতিবাচক কিছু বিষয়ও আছে। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি জ্ঞানের পথ বন্ধ করে দেয়, ভীতি আর নির্ভরতা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া আমাদের বিশ্বের যুদ্ধ, নির্যাতন আর দুর্দশার জন্য অনেকাংশে দায়ী ধর্ম।
আমার মনে হতো, ধর্ম ছাড়াই তো ভালো আছি। আমি প্রমাণ করতে চাইতাম, ধর্ম আসলে একটা জোচ্চুরি। ধর্মকে হেয় করতে আমি পরিকল্পিত কাজ করার কথা ভাবতাম।
হ্যাঁ, সেই আমিই এখন মুসলমান।
আমি ঘোষণা দিয়েই ইসলাম গ্রহণ করেছি। আর সেটা না করে উপায়ও ছিল না। আমি অনুগত হয়েছি, ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি।
মজার ব্যাপার হলো, যখন ধর্মাবলম্বনকারীদের সাথে বিশেষ করে মুসলমান হিসেবে পরিচয়দানকারীদের সাথে কথা বলতাম, আমি প্রায়ই লক্ষ করতাম, তারা বিশ্বাস করার আখাঙ্খা পোষণ করে। তাদের ধর্মগ্রন্থে যতই সাংঘর্ষিক বিষয় থাকুক, ভুল থাকুক, তারা সবকিছু এড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবে ধর্মকে আঁকড়ে ধরে। তারা জানে, তারা কী বিশ্বাস করে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনো আল্লাহকে খুঁজতে চাইনি, সেই ইচ্ছাও আমার কখনো হয়নি। একদিন আমার এক বন্ধু ইসলামে আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে বোঝাতে চাইল, আমি ক্ষুব্ধ হলাম।
কোনো মানুষ যখন কিছু বিশ্বাস করতে চায়, তখন তার মধ্যে অনেক সময়ই এমন একটা বোধ সৃষ্টি হয়, যার ফলে সেটা গ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহ তার মধ্যে তৈরি হয়। ধর্মের ব্যাপারেও আমার মধ্যে তেমন একটা ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল। আমি ধর্মকে স্রেফ একটা বাজে জিনিস হিসেবে বিশ্বাস করতে চাইতাম।
এমন বিশ্বাস কিন্তু কোনো দৃঢ় প্রমাণের ভিত্তিতে হয়, এমন নয়। স্রেফ অনুমানের ওপর গড়ে ওঠে এ ধরনের বিশ্বাস। আমি যখন কোনো ধর্মীয় বই পড়তাম, তখন সেগুলোর প্রতি আমার কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকত না, তবে আমার উদ্দেশ্য থাকত তা থেকে ভুল-ত্রুটি বের করা। এর ফলে আমি আমার উদ্দেশ্যের প্রতি অটল থাকতে পারতাম।
আমার কোরআনের পেপারব্যাক অনুবাদটি পেয়েছিলাম বিনা মূল্যে। একদিন দেখলাম, এমবিএ’র কিছু ছেলে কোরআন বিলি করছে। আমি জানতে চাইলাম, এগুলো কি ফ্রি? তারা হ্যাঁ সূচক জবাব দিলে আমি একটা নিয়ে রওনা দিলাম। এসব বইয়ের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। কেবল ফ্রি পেয়েছিলাম বলে নিয়েছিলাম। তবে আমার উদ্দেশ্য ছিল, বইটা পড়ে আরো কিছু খুঁত যদি পাওয়া যায়, তবে ধর্মটির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে।
আমি যে কপিটা পেয়েছিলাম, সেটির পাতাগুলো মলিন হয়ে গিয়েছিল, অনেক পুরনো ছিল সেটি। কিন্তু আমি যতই পড়তে থাকলাম, ততই বশীভূত হতে লাগলাম। আমি আগে যেসব ধর্মীয় গ্রন্থ পড়েছি, তা থেকে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি অর্থ সহজেই বুঝতে পারছিলাম। সবকিছুই ছিল স্পষ্ট।
আমার মনে পড়ল, আমার এক বন্ধু যখন আমাকে ইসলামে আল্লাহ কেমন তা বোঝাচ্ছিল, আমি রেগে গিয়েছিলাম, কিন্তু এবার পাতার পর পাতা উল্টে অনেক জায়গায় দেখতে পেলাম তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।’
মনে হলো, পবিত্র কোরআন সরাসরি আমার সাথে কথা বলছে, আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। এটা একটা ‘পুরনো গ্রন্থ’ কিন্তু পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক। এর কাব্যিকতা, কল্পনাশক্তি এবং যেভাবে বার্তা পৌঁছে দেয়, তা আমাকে অন্তর থেকে নাড়া দিল। এর অভূতপূর্ব সৌন্দর্য আমি আগে কখনো টের পাইনি। মরুভূমির দমকা হাওয়া যেন সবকিছু উল্টে দিল। মনে হলো আমি যেন কিছু একটার জন্য দৌড়াচ্ছি।
কোরআন আমার বোধশক্তিতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করল। নিদের্শনাবলী দেখে তারপর আমাকে চিন্তা করতে, ভাবতে, বিবেচনা করতে বলল। এটা অন্ধ বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু যুক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে উৎসাহিত করে। কোরআন মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করে, স্রষ্টাকে স্বীকার করে নিতে বলে, সেই সাথে আধুনিকতা, মানবিকতা, সহমর্মিতার কথা বলে।
অল্প সময়ের মধ্যেই আমার জীবনকে বদলে দেয়ার আগ্রহ তীব্র হয়। আমি ইসলাম সম্পর্কে অন্যান্য বই পড়তে শুরু করলাম। আমি দেখতে পেলাম, কোরআনে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে, অনেক হাদিসেও তেমনটা আছে। আমি দেখলাম, পবিত্র কোরআনে অনেক স্থানে নবি মোহাম্মদকে সংশোধন করা হয়েছে। আমার কাছে অদ্ভূত লাগল। এতেই বোঝা যায়, তিনি গ্রন্থটির লেখক নন।
আমি নতুন পথে হাঁটতে শুরু করলাম, পবিত্র কোরআনের জ্যোতি আর নবি মোহাম্মদের দেখানো রাস্তায়। এই লোকটির মধ্যে মিথ্যাবাদির কোনো আলামত দেখা যায়নি। তিনি সারা রাত নামাজ পড়তেন, তাঁকে নির্যাতনকারীদের ক্ষমা করে দিতে বলতেন, দয়া প্রদর্শনকে উৎসাহিত করতেন। সম্পদ আর ক্ষমতা তিনি প্রত্যাখ্যান করতেন, কেবল আল্লাহর দিকেই নিবেদনের বিশুদ্ধ বার্তাই প্রচার করতেন। আর তা করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতন সহ্য করেছেন।
সব কিছুই সরল, সহজেই বোঝা যায়। আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। এই মহাবিশ্বের জটিল আর বৈচিত্র্যময় কোনো কিছুই ঘটনাক্রমে ঘটেনি। তা-ই সাধারণ বিষয় হলো, সেই একজন- যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তাকে অনুসরণ করতে হবে।
আমার অ্যাপার্টমেন্টের কৃত্রিম লাইটিং এবং বাতাসের ওজন নিয়ে ভাবতে ভাবতে পবিত্র কোরআনের এই আয়াতটি পড়লাম :
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশম-লী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, এরপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (কোরআন ২১:৩০)
এই আয়াত পড়ে আমার মাথা যেন দুই ভাগ হয়ে গেল। এটাই তো বিগ ব্যাং তত্ত্ব (এটা স্রেফ একটা তত্ত্ব নয়)… সব জীবন্ত সত্তাই পানি থেকে সৃষ্টি হয়েছে, বিজ্ঞানীরা মাত্র এটা আবিষ্কার করেছে। এটা ছিল অবাক করা বিষয়। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাকর এবং সবচেয়ে ভীতিকর সময়।
আমি বইয়ের পর বই অধ্যায়ন করতে লাগলাম, তথ্যগুলো যাচাই করতে থাকলাম। এক রাতে আমি প্র্যাট ইনস্টিটিউট লাইব্রেরিতে বসে খোলা বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমার মুখটা হয়তো কিছুটা ফাঁক হয়ে গিয়েছিল। কী ঘটতে যাচ্ছে, আমি বুঝতে পারছিলাম না। তবে এটুকু অনুভব করলাম, আমার সামনে যা রয়েছে, তা হলো সত্য। আগে আমি যেটাকে সত্য ভাবতাম, সেটার আর কোনা অস্তিত্ব ছিল না।
এমন কী আমার সামনে দুটি বিকল্প ছিল। একটা আসলে কোনো বিকল্পই ছিল না। আমি যা আবিষ্কার করেছিলাম, তা অস্বীকার করতে পারছিলাম না, অগ্রাহ্য করতে পারছিলাম না। আগের মতোই চলব, এমনটাও ভাবছিলাম সামান্য সময়ের জন্য। সেটাও সম্ভব ছিল না। আমার কাছে পথ খোলা ছিল কেবল একটাই।
ইসলাম গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না আমার সামনে। অন্য কিছু করা মানেই ছিল সত্যকে অস্বীকার করা।
(লেখিকা ড্যানিয়েলে লোডুকা ইউরোপিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান। ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। পেশায় তিনি শিল্পী। ব্যক্তিজীবনে পাঁচ সন্তানের মা। ইসলাম নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন।
“সংগৃহীত “
বছরের পর বছর ক্রিকেট মাঠের বাইশ গজ কাঁপিয়ে দেশের ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৪ বর্গমাইলে এসে খেই হারিয়ে ফেললেন ইমরান খান (৭০)।
পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। পাকিস্তানকে প্রথম বিশ্বমঞ্চে ওঠানোর কারিগর। পাকিস্তানের লাখো ভক্তের ‘মহানায়ক’। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। রমণীমোহন খ্যাত সুদর্শন ইমরান খানকে একনজর দেখতে একসময় জনস্রোতে ভাসত বিশ্বের তাবড় তাবড় সব স্টেডিয়াম।
খেলার মাঠের রঙিন দিনগুলোয় হাজার হাজার নারীর মনোনায়ক, ছিমছিমে গড়নের সেই চৌকশ খেলোয়াড় আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন বাউন্ডারির বাইরে। অ্যাটক জেলের অন্ধকার কুঠরিতে। জীবনভর চার-ছক্কা হাঁকানো ব্যক্তিটি অবসর নিয়েই পা রাখেন নিজের সীমানার বাইরে। রাজনীতির মাঠে। হলেন প্রধানমন্ত্রী।
জনপ্রিয়তা লাভ করেন এখানেও। কিন্তু রাজনীতির গোলকধাঁধায় হারিয়ে ফেলেন মসনদ। অনাস্থায় ক্ষমতা হারান। আর এখন অ্যাটক জেলের কয়েদি। ক্রিকেটের মাঠে মহানায়ক খ্যাতি অর্জন করলেও রাজনীতিতে হয়ে গেলেন বোল্ড আউট। বিবিসি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং দেশের অর্থনীতির সঠিক দিশা দেখানোর প্রতিশ্র“তি দিয়ে ২০১৮ সালে নির্বাচিত হন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশটি আর্থিক সংকটে পড়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, কমে যায় রুপির মূল্য। ঋণ সংকটে পঙ্গু হতে থাকে দেশ। অনেকের মাঝে ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম হয়।
২০২২ সালের মার্চের শেষদিকে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোট হয়। হেরে যান খান। ৩৪২ সদস্যের হাউজে তার বিরোধীরা ১৭৪ ভোট পান। ৫ আগস্ট তোশাখানার দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হলে তাকে অ্যাটক জেলে বন্দি করে রাখা হয়।
খানের জন্ম ১৯৫২ সালে। বাবা ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। স্কুলজীবন কাটে লাহোরে। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেন। এরপর যোগ দেন ক্রিকেটে। দুই দশকব্যাপী ক্রিকেটে সুনাম অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে তার অধিনায়কত্বে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয় করে পাকিস্তান। যৌবনকালে তিনি প্লেবয় হিসাবেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেন।

খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর তার মায়ের স্মৃতিতে একটি ক্যান্সার হাসপাতালে মিলিয়ন ডলার তহবিল দান করেন। পরোপকারের এ অভিযান তকে ধীরে ধীরে রাজনীতির দিকে ঠেলে দেয়। ১৯৯৫ সালে খান ২১ বছর বয়সী ব্রিটিশ উত্তরাধিকরী জেমিনা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেন। তখন খানের বয়স ছিলো ৪৩ বছর। তাদের দুটি ছেলে সন্তান হয়।
২০০৪ সালে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর, ভেঙ্গে যায় সংসার। ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হন খান। সাংবাদিক রেহাম খানকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের এক বছরেরও কম সময়ে ভেঙ্গে যায় এ বিয়েও। খান ২০১৮ সালে একটি লো-প্রোফাইল আবারও বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীর নাম বুশরা ওয়াট্টো। পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।
নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বক্সার আমির খান। এবার স্ত্রী ফরিয়াল মাখদুমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে তাকে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়ে আলোচনায় এই বক্সার। সম্প্রতি এক নারীর সঙ্গে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ খুদে বার্তা ফাঁস হওয়ার পর সংসার ভাঙতে বসেছিল আমিরের।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত বক্সার তার স্ত্রীকে লাল ফিতায় মোড়ানো একটি ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিজ জি-ক্লাস উপহার দিয়েছেন। সেক্সটিং (অশ্লীল খুদে বার্তা) কেলেঙ্কারির কারণে তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছিল। সেটাই আটকানোর মাধ্যম হিসেবে এই পন্থা অবলম্বন করেছেন তিনি।
আমির খান তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে লাল ফিতা এবং লাল বেলুন বাঁধা একটি ধূসর বর্ণের মার্সিডিজ জি-ক্লাস গাড়ি দেখা গেছে। মাখদুম গাড়িতে চড়ার পর যাত্রীর আসনে বসেন আমির।
ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেছেন, ‘ফরিয়ার জন্য ছোট্ট উপহার। আমি জানি সে জি ওয়াগন্স কতটা ভালোবাসে তাই আমি তাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। আশা করি তোমার ভালো লাগবে।’
বিয়ে বাঁচাতে বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয়ের ঘটনা তার জন্য প্রথমবার নয়। কয়েক দিন আগে তিনি তার স্ত্রীর মেকআপ ব্যবসায় ১ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করেছিলেন।
এর আগে তিনি ‘ভুল’ করার জন্য এবং স্ত্রীকে ‘কষ্ট’ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এমনকি নিজেকে শুধরাতে তিনি থেরাপি নিতেও ইচ্ছুক বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ব্যতিত অন্য নারীর কাছে যাওয়া বন্ধ করার জন্য আমি থেরাপি নিতেও ইচ্ছুক। আমি মনে করি আজকাল মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় পড়লে এ ধরণের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এসব কাজ থেকে দূরে রাখতে থেরাপি অনেক কাজে দেয়।
ভিসা না পাওয়ায় ভারতীয় যুবককে অনলাইনে বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের এক তরুণী। বুধবার ভারতের যোধপুরে জমজমাট আয়োজনে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। তবে ইচ্ছা থাকলেও তরুণ-তরুণী একসঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি।
জানা গেছে, পাত্র চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আরবাজ খানের বাড়ি ভারতের রাজস্থানের যোধপুরে। অন্যদিকে কনে আমিনা করাচির বাসিন্দা।
বিয়ের জন্য বুধবার আরবাজ খান বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে যোধপুরের ওসওয়াল সমাজ ভবনে পৌঁছান। সেখানে কেবল বিয়েই হয়নি, উৎসবে মেতে উঠেছিল আরবাজের পরিবার।
বিয়ের পর আরবাজ বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। আমিনা ভিসা পাবে না। তাই অনলাইনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। ভিসা পেয়ে আমিনা শিগগিরই ভারতে ঢুকতে পারবেন বলে আশাবাদী আরবাজ।
তিনি আরও বলেন, আমিনা ভিসার জন্য আবেদন করবে। ভিসা পেলেই সে ভারতে আসবে। আমি পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠান করিনি, কারণ সেখানে এটা স্বীকৃত হবে না। পরে ভারতে এলে আমাদের আবার বিয়ে করতে হতো। বিয়ে পড়ান যোধপুরের কাজী।
ঘটনাটি প্রতিবেশী দুই দেশের আন্তঃসীমান্ত সম্পর্কগুলোকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। এর আগে চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধ উপায়ে উত্তরপ্রদেশের নয়দায় পালিয়ে আসেন পাকিস্তানি নারী সীমা হায়দার। অনলাইন গেমে শচীন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল তার।
সূত্র: এনডিটিভি।